নেত্রকোনা শহরে বাসা-বাড়ির আঙিনা দিন দিন কমে যাওয়ায় মানুষ ঝুঁকছে ছাদ বাগানের দিকে। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাদ বাগান। গাছ রোপণ করছে টবে। দেশি-বিদেশি ঔষধিসহ নানা জাতের গাছ রোপণে যেমন টাটকা ফলের স্বাদ পাচ্ছেন তেমনি জীবন বাঁচাতে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। জেলা শহরের বেশ কিছু অফিস ও রেস্টুরেন্টসহ বাসাবাড়িতে দেখা গেছে এমন বাগানের দৃশ্য। এতে অক্সিজেন সরবরাহসহ রক্ষা হবে পরিবেশের ভারসাম্য, এমনটা মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
কুড়পাড় নির্বাচন কমিশন ভবনের দুইতলা এবং তিনতলায় মনোমুগ্ধকর এক ছাদ বাগান গড়ে তুলেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। বাগানে অর্ধশত প্রজাতির ফল এবং ২০ প্রজাতির ফুল ও আরও প্রায় ৩০ প্রজাতির ঔষধি চারা লাগানোসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজির বাগান করা হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ শেখ জানান, এর আগেও রাঙ্গামাটি এবং পাবনা জেলায় এভাবে বাগান করেছেন। এতে গোবর এবং খৈল ছাড়া অন্য সার লাগে না। নেত্রকোনা জেলা নিয়ে মোট তিন জেলায় ছাদকে কাজে লাগিয়ে বাগান করেছেন তিনি।
এতে পেয়ারা, তিন, ড্রাগন ফলসহ সারা বছর ধরে ফলন হয় এমন ফলের গাছ অর্ধশত রয়েছে। এছাড়াও সিজনাল ফলের গাছও রয়েছে। রয়েছে পুঁই, ডাটাসহ অতি পুষ্টিকর সবজিবাগান।
এতে রয়েছে থাই গোল্ডেন-৮ পেয়ারা, থাই সফেদা, ইন্ডিয়ান ভাগোয়া আনার, দেশি তেঁতুল বনসাই, সাইকাস, চায়না কমলা, দার্জিলিং কমলা, ভিয়েতনামী বারোমাসি মাল্টাসহ থাই শরীফা, থাই জাম্বুরা, কদবেল, বারোমাসি আমড়াসহ নানা জাতের ফল এবং ফুল।
এদিকে শহরের মোক্তারপাড়ায় চারতলা ভবনের ছাদে গড়ে উঠছে চেক ইন রুফটপ নামের একটি বাগান বিলাসি রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন মানুষ সবুজ গাছের নির্মল পরিবেশে কফির আড্ডায় বসেন। বিকেল থেকে শুরু করে চলে রাত অব্দি। অন্যদিকে বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদ এবং কোরিডোরে দেখা যায় এমন বাগান। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদেও করা হয়েছে এমন বাগান।
গবেষণাকারী বারসিকের জেলা সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান বলেন, মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে আশপাশে প্রচুর পরিমাণে সবুজ বাগান গড়ে তুলতে হবে। শহরগুলোতে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। দিন দিনে গ্রামেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পরিবশে বিপর্যয় ঘটছে। এ জন্যই যার যেখানেই জায়গা রয়েছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে সবুজায়ন করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই