গত দুই সপ্তাহের অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অপরিবর্তিত রয়েছে। সেসব এলকার বসতবাড়ীর চারিদিকে পানি উঠায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা। অনেক পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিলেও এখনো কোন সহায়তা হাতে পৌঁছায়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। তালিকা তৈরী না হওয়ায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে, কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত পাঁচ দিন ধরে রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা নদী জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানির পানি বৃদ্ধি পেয়ে এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানিবন্দী জীবন যাপন করছে রৌমারী উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, রৌমারী উপজেলায় প্রায় ২২৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে থাকা উঠতি আউশ ধান,আমন ধান,পাট, মরিচ, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন সবজি জাতীয় ফসল সম্পুর্ন রুপে ক্ষতির আশংকা করছেন এ দুই উপজেলার কৃষক। এছাড়াও সেখানে ৩১টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, স্থানীয় পাউবো জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে তিস্তা নদীর পানি টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কমে এখন বিপদসীমার ৬৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম