পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইলে ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এদিকে, জেলায় ৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ৫টি উপজেলায় আউশ, পাট, সবজি, তিল, বুনা আমনের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত হয়েছে। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নিমজ্জিত ফসলের জমির পরিমানও বাড়বে।
জানা যায়, সকল নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, ভুঞাপুর, গোপালপুরের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসাধরণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, সদর, বাসাইল এবং নাগরপুর উপজেলার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। যদি ১ সপ্তারের মধ্যে পানি নেমে যায় তাহলে আংশিক ক্ষতি হবে। তবে পানি সরে গেলে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। যেসব জায়গায় কাজ করা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, বলেন, বন্যার্তদের পাশে থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও বানবাসী মানুষের জন্য চিকিৎসা টিম গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ