বরিশালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউ (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত ও চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় বিনার উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম।
বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও কৃষক ইউনুছ মোল্লা।
কর্মশালায় ৭৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে কৃষককের মাঝে বিনা ধান-১৭’র বীজ বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতগুলো স্বল্পকালীন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে শস্য নিবিড়তা বাড়াতে সহায়ক হবে। এজন্য মাঝারি ও মাঝারি ঊঁচু জমি নির্বাচন দরকার। তবেই আমনের ফসল তোলার পর ওই জমিতে সরিষা চাষ করা সম্ভব। পরে করা যাবে মুগডাল।
অনুষ্ঠানে বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন বলেন, বরিশাল অঞ্চলের জন্য বিনা ধান-১১, বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২০ এবং বিনা ধান-২৩ খুবই উপযোগী। এর মধ্যে বিনা ধান-১১ জলমগ্নসহিষ্ণু। বিনা ধান-২০ জিংক ও আয়রণসমৃদ্ধ। আর ফলনের দিক থেকে বিনা ধান-১৭ সবচেয়ে ভালো। হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন প্রায় ৭ টন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল