উজানের ঢল এবং ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তাসহ অন্যান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে, বন্যার সাথে কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। নদীর বাঁধসহ উঁচু স্থানে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজানের পাহাড়ী ঢলে সোমবার বিকেলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার সমান হলেও বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একই সময়ে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সে.মি, ইসলামপুর পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৮৪ সে.মি, যমুনেশ্বরী নদী বদরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ দশমিক ২৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সে.মি উপর দিয়ে, করতোয়া নদী চক রহিমপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১২ মিটার নিচ দিয়ে, ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সে.মি, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সে.মি ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। এ সময় রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ