গাজীপুরের কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাপ দিয়ে মা-মেয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। বুধবার সন্ধা পৌনে সাতটার দিকে নরসিংদীর পলাশ থানার নিজামুদ্দিন ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নিখোঁজদের স্বজনদের খবর দিলে রাতেই তারা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
নিহত শিশুর নাম মুর্শিদা আক্তার। তার বয়স আনুমানিক সাত বছর। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে শিশুটির মা আরিফা আক্তার। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী বঙ্গারচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস আই) আমিরুল ইসলাম।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সন্ধ্যায় পলাশ থানার নিজামুদ্দিন ঘাটে একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহটি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ মা-মেয়ের মধ্যে শিশু মেয়েটির বলে শনাক্ত করি। পরে নিখোঁজদের স্বজনদের ছবি পাঠাই। রাতেই তারা ফাঁড়িতে এসে মরদেহ নিখোঁজ শিশু মুর্শিদা আক্তারের বলে সনাক্ত করেন। পরে আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত শিশুর মামা মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমাদের এক আত্মীয় ফেসবুকে ছবি দেখে প্রথমে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানান। এরপর নরসিংদীর পলাশ থানার বঙ্গারচর নৌ-ফাঁড়িতে যোগাযোগ করলে ছবি এবং পোশাক দেখে নিশ্চিত হই। রাতেই মরদেহ কাপাসিয়ায় নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম