২৫ জুন, ২০২২ ১৯:৫৬

মহাসড়কে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি

মহাসড়কে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

নিহত কবির হোসেন

নরসিংদীর বেলাবতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর প্রকাশ্যে কবির হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বেলাবো উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের খামারচর নামক স্থানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত কবির হোসেন খামারচর গ্রামের আব্দুল হাই মিয়ার বড় ছেলে। তিনি বারৈচা বাজারে গাড়ির ব্যবসা করতেন।
 
স্বজনরা জানায়, কবির প্রতিদিনের মত আজও সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ি ঠিক করার জন্য গ্যারেজে উদ্দেশ্যে বের হয়। সে খামারচরে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগে থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার উপর আকস্মিক হামলা চালায়। পরে সে দৌঁড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপরে চলে আসে। পরে সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এসময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন ইউপি সদস্য রিনা বেগমের ছেলে সোহরাব ওরফে মুসাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি ছিলেন কবির হোসেন। হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর পলাতক থেকে ২০২০ সালের ২ অক্টোবর গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেফতার করে। সম্প্রতি তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আসেন। এছাড়া কবিরের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নিহতের বাবা আবদুল হাই বলেন, আমার ছেলে এলাকার গ্রাম্য রাজনীতির স্বীকার। গ্রাম্য রাজনীতির কারণে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। আর এর পর থেকে সে তার ব্যবসায়ের কাজে মনোযোগ দেয়। তার ব্যবসাও ভালো চলছিলো। আজ দুপুরে সন্ত্রাসীরা তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে দিন দুপুরে মহাসড়কের উপরেই গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে যদি অপরাধী হয় তাহলে আইন তাকে শাস্তি দিবে। এভাবে তাকে কেন হত্যা করা হলো। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।  

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন বলেন, নিহত কবিরের সাথে মামলা মোকদ্দমা নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজনের দ্বন্দ্ব ছিলো। সে হত্যা মামলারও আসামি ছিলো। তবে কি কারণে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে  তা জানতে আমরা সকল বিষয় বিবেচনা রেখেই তদন্ত করছি। দ্রুত সময়েই অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর