নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়া দ্বীপ উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মোবাইল নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে। তবে নিহতের শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সুনির্দষ্টি কোন কারণ জানাতে পারে নি। নিহত গৃহবধূ মেরিনা আক্তার (২৫)। সে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টার দিকে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের সাথে মোবাইর ফোন নিয়ে তার স্ত্রী মেরিনার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মহিউদ্দিন কাঠের পিঁড়ি দিয়ে স্ত্রীর শরীরে একাধিকবার আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নিজাম উদ্দিন বলেন, নিহত গৃহবধূর শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বশুর শ্বাশুড়িকে থানায় রাখা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম