মৌলভীবাজারে ধীর গতিতে কমছে হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের বন্যার পানি। এখনো স্বাভাবিক হয়নি জেলার কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার হাওর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জেলার বানভাসি মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির এবং গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। নিম্নাঞ্চলের বানভাসীদের দুর্ভোগ এখনো যথেষ্ট রয়েছে। বানের পানির তোড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সড়ক। অপরদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবন্ধী মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ডায়রিয়ায় ৪৯ জন, চর্ম ৫০ জন, জ্বরে ১৪ জন, চোখের ভাইরাস ১২ জন, চোখে আগাতপ্রাপ্ত ৬ জন, সাপে কাটা ৪ জন, অন্যান্য রোগে ৩৭ জনসহ মোট ১৭২ জন শিশু-নারী ও পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে গত ৮দিনে জেলায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে মোট ৭৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।আপরদিকে মৌলভীবাজারে সাতটি উপজেলা ও ৪১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫২ হাজার ১১১টি পরিবারের ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ সদস্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্যায়। ১৩ হাজার ২৬০টি ঘরবাড়ি ও ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় আমাদের ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ৭৩০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
বিডি প্রতিদিন/এএম