চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার হাট থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত বাসে যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট। কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। যানবাহন চলেছে থেমে থেমে। কখনো দীর্ঘ সময় ধরে চাকা বন্ধ। দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ।
এভাবে পথে পথে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই ঈদে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। ফলে নারী-শিশু ও পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের নিয়ে ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাড়ি ফেরা মানুষদের। তবুও প্রাণের টানে বাড়ি যায় মানুষ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতিবারই ঈদ যাত্রায় অবধারিত কিছু ভোগান্তি অনেকটা কপাল লিখন। এর মধ্যে আছে, দুর্বিসহ যানজট, গলাকাটা গাড়ি ভাড়া ও যানবাহন স্বল্পতা। ফলে পথে পথে দুর্ভোগের কারণে আনন্দ-উৎসবের ঈদ যাত্রাটা অনেকের কাছে ম্লান হয়ে যায়।
জানা যায়, শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় এর আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নগরের মানুষ পরিবার নিজ গ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকেই বাস ও রেল স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। তবে আজও ছিল যাত্রীদের ভিড়। সবচেয়ে বেশি যাত্রী দেখা যায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে। তাছাড়া, নগরের বিআরটিসি, গরীবুল্লাহ শাহ মোড়, অলংকার মোড়, একেখান মোড়, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন মোড়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও মোহরা মোড় এলাকায় আন্ত:নগর বাস ও দূরপাল্লার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আজ সকালে নতুন ব্রিজ মোড়ে দেখা যায়, অসংখ্য যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। একটি গাড়ি আসলে এক সঙ্গে অনেক যাত্রী হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এ সময় গাড়ির সংকটকে পুঁজি করে চালকরা তাৎক্ষণিক ভাড়া দ্বিগুণ করে ফেলে।
নতুন ব্রিজ এলাকার যাত্রী মো. এরশাদ বলেন, প্রতিবারের মত এবারও দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। মনে হয়, গাড়ির চালকদের মানবিকতা বলতে কিছুই নেই। যাত্রী বেশি দেখলেই তারা ভাড়া দ্বিগুণ করে ফেলে।
বাস চালক কফিল আহমেদ বলেন, যাওয়ার সময় যাত্রী থাকলেও আসার সময় অনেকটা খালি আসতে হয়। তাই ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ম্যানেজার প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে রেলওয়ে নির্ধারিত সিটের বাইরেও যাত্রীদের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করেছে। তাছাড়া এখন সব ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল