গাজীপুরে ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার চালকের সহকারী মো. হীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম লাবনী আক্তারের কাছে চালকের সহকারী মো. হিরা স্বেচ্ছায় ওই স্বীকারোক্তি দেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে তাকওয়া পরিবহনের বাসের চালক মো. সফিকুল ইসলাম ও তার সহকারী মো. হিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।
এ সময় হিরা চালকের সহকারী (হেলপার) স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন। পরে বিচারক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বাস চালক মো. সফিকুল ইসলামের রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর শহরের জোড়পুকুর পাড় মোড় থেকে শিববাড়ি যেতে মো. সায়েম নামে এক ওয়ার্কসপ শ্রমিক তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে চালকের সহকারীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে সায়েমের কথা-কাটাকাটি হয়। এ কারণে হেলপার সায়েমকে শিববাড়ি মোড়ে নামতে না দিয়ে চান্দনা চৌরাস্তার দিকে নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। পরে জয়দেবপুর-চান্দনা চৌরাস্তা সড়কের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট গেইটের পাশে (শিববাড়ী বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে) এশিয়ান ফার্নিচারের সামনে সায়েমকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় চালকের সহকারী।
পরে স্থানীয়রা সায়েমকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে পুলিশ বাসটি জব্দ ও বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা মো. আবু সাইদ বাদি হয়ে জিএমপির সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সায়েম (২০) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার হাওলাপাড়া দক্ষিণ এলাকার মো. আবু সাঈদের ছেলে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর