শেষ মুহূর্তে হবিগঞ্জে পশু হাটগুলো জমে উঠেছে। শুক্রবার হবিগঞ্জ পৌর পশুর হাটে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদিন কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়েছে। তবে ক্রেতা গরুর দাম বেশি বললেও বিক্রেতারা বলছেন পশুর খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় তাদের আগের চেয়ে বাড়তি দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ইজারাদারের দাবি অবৈধ গরুর হাটের কারণে তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে হবিগঞ্জর সবচেয়ে বড় পৌর গরুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে কয়েক হাজার গরু উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে শাহি হালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। কয়েকজন গরুর খামারিরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় রামপুর গ্রামের গরুর খামারি তুহিন মিয়া এবার বাজারে বড় সাইজের ১০/১২টি গরু তুলেছিলেন। এর মধ্যে তিনি গরু বিক্রিও করেছেন। তিনি আশাবাদী শেষ মুহূর্তে গরুগুলো সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।
কোরবানির গরু ক্রয় করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহিদ ও মুরাদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকাদ্দছ তালুকদার জানান, বাজার ঘুরে মনে হয়ে অন্য বছরের চেয়ে গরুর দাম একটু বেশি। তারপর ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা দামে একটি গরু ক্রয় করেছি। শেষ পর্যায়ে বাজার দাম হয়তো কমতেও পারে।
বাজার ইজারাদারের প্রতিনিধি ছালেক মিয়া জানিয়েছেন, এখনো পুরো বিক্রি শুরু হয়নি। শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা গরুর দাম ছাড়ছেন না। তবে অবৈধ গরুর হাটের কারণে মূল ইজারাদাররা ক্ষতির সম্মুখীন হবে জানিয়েছেন তিনি। অবৈধ গরু বাজারগুলোর বন্ধের দাবি জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর