পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে তাঁতেরকাঠি গ্রামের সরোয়ার খানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৭ জুলাই উপ-নির্বাচনে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন উদ্দিন (৫৫) বিকালে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক নিয়ে নুরাইপুর বাজারে কোরবানির গরু কেনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তাঁতেরকাঠি গ্রামের সরোয়ার খানের বাড়ির কাছে পৌঁছলে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের কর্মী-সমর্থকরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে গিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন উদ্দিনের উপর হামলা করে।
এ সময় আত্মরক্ষার জন্য তিনি দৌড়ে সরোয়ার খানের ঘরে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় চশমা প্রতীকের কর্মী শামীম (৪০), স্বপন (২৭), সোহাগ মৃধা (৩৫), সাইফুল (৩০) ও রাসেল মৃধা আহত হয়। পরে স্বপনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম ফারুক হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, নৌকা মার্কার সমর্থনে আয়োজিত একটি প্রোগ্রামে চশমা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন ও তার কর্মী সমর্থকরা হামলা করে। এ ঘটনায় নৌকা মার্কার কর্মী সোহেল (৩২), মামুন (৪০), সান (২২) ও করিম মৃধাকে (৭০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।’
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর