মেহেরপুরে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, প্রয়োজনের তুলনায় জেলায় এখনো ১৭৩ মেট্রিক টন মাছের ঘাটতি রয়েছে। মেহেরপুরে মাছের চাহিদা ১৩ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১৩ হাজার ৮২২মেট্রিক টন। মাছের ঘাটতি পূরণে বিল-নার্সারি কার্যক্রম, মাছ চাষ, উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্তি, মৎস্য অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ প্রভৃতি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ জেলার মৎস্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এবারের মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে ২৯ জুলাই। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৪ জুলাই শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্যমে মৎস্য সপ্তাহর উদ্বোধন। প্রধান মন্ত্রী শেখহাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৎস্য সপ্তাহর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জুমের মাধ্যমে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হেসেন সংযুক্ত থাকবেন। এছাড়াও সপ্তাহ ব্যাপী মাইকিং ও ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। জেলা-উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, সফল মৎস্য চাষীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মৎস্য চাষিদের পরামর্শ ও সেবা প্রদান, মৎস্য চাষিদের মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ পরামর্শ প্রদান, পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা, সুবিধাভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ২৯ জুলাই জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহর মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মৎস্য সপ্তাহের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
এবার মেহেরপুর জেলায় মৎস্য চাষের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৪ মৎস্য উদ্যোক্তাকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষিরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার মালোপাড়ার মো. কামাল হোসেন, বারাদি ইউনিয়নের পাটাপোকা গ্রামের শরিফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও গাংনী উপজেলার সানঘাট গ্রামের মক্কেল মন্ডল।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামা, মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন , সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা