কয়েকদিনের বৃষ্টি আর গভীর নলকূপ ও শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ প্রদান করে আমন চারা রোপণে মাঠে মাঠে নেমে পড়েছে কৃষকরা। আমন ধানের চারার বয়স বেশী হলে সেই চারা রোপণে ভাল ফলন পাওয়া যাবে না। তাই সময় মত আমন ধানের চারা রোপণ করার স্বার্থে মাঠে মাঠে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বর্ষাকালের এসময় আবাদি জমি থাকে জলমগ্ন। আর জমির এই পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা আমন চাষ করেন। কিন্তু এবার দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলে সময় মত বৃষ্টি হয়নি। অথচ আমন চারার রোপণের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আর দেরী না করে নেমেছে আমন চারা রোপণে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টির জন্য এখনও আকাশের দিকে চেয়ে আছে কৃষক।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দিনাজপুর জেলায় চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর। আর এর জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত আমন রোপণ হয়েছে ২০শতাংশ জমিতে। আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত আমন রোপণ করা যাবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
কাহারোলের মুকুন্দপুর গ্রামের কৃষক মো. হবিবর রহমান জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩ বিঘা জমিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণ করেছি। তবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানায়, পর্যাপ্ত পানি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছি। একবিঘা জমিতে পানি দিতে ২ঘণ্টা লাগে। প্রতি ঘণ্টায় খরচ হয় ১৫০ টাকা। এভাবে এবার আমন চারা রোপণে খরচ বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর