চাঁদপুরের স্থানীয় নদীতে ইলিশের দেখা না মিললেও সাগরের রুপালি ইলিশে সরগরম মাছঘাট। সাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে হতেই গভীর সমুদ্র ও সাগর মোহনায় জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই চাঁদপুরের পাইকারি বাজারে বেড়েছে নামার ইলিশের সরবরাহ। নদীর পানি বৃদ্ধি ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে মাছঘাটে ইলিশ আসতে শুরু করেছে।
গত ২দিন ৭০ মণ থেকে আটশ’ মণ ইলিশের আমদানি ঘটেছে। আজ সোমবার দেড় থেকে ২ হাজার মণ ইলিশ আমদানি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে দাবি করেছেন, মৎস্য বণিক সমিতির কর্মকর্তারা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, নদীতে স্রোত ও ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও এবছর আমদানি তেমন একটা স্থায়ী হচ্ছে না।
চাঁদপুর মাছঘাটের ব্যবসায়ী সম্রাট হোসেন জানান, আজ সাগরের ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। যদিও গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ আমদানি একটু বেড়েছে। যেহেতু ইলিশের ব্র্যান্ডিং শহর চাঁদপুরে ভালো দাম পাওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন বাজারগুলোতে ইলিশের চালান হয়ে থাকে। বড়স্টেশন মাছঘাটে ভালো দাম পাওয়ার আশায় সাগরসহ নিম্নাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে জেলেরা ইলিশ নিয়ে চাঁদপুরে পাইকারি বাজারে আসেন। ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও আকারভেদে দরদামে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট।
চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি বাজারে গত কয়েকদিন ইলিশের সরবরাহ ছিল গড়ে এক হাজার থেকে দেড় হাজার মণ। তবে ১ কেজি থেকে ১২শ’ গ্রামের ইলিশের পাইকারি দাম ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকা কেজি। আটশ’ থেকে নয়শ’ গ্রামের ইলিশ ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা কেজি। আর চারশ’ থেকে পাঁচশ’ গ্রামের ইলিশ নয়শ’ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার (মানিক) বলেন, কিছুদিন আগে নিম্নচাপের প্রভাবে চাঁদপুর পাইকারি বাজারে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছিল। গত দু’দিন ইলিশের আমদানি খুব কম ঘটলেও, আজ দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে।
নিত্যপণ্যের দাম ও জ্বালনি খরচ বেশি এবং চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম ধরা পরায় দাম একটু বেশি। ছোট ইলিশের দাম তুলনামূলক কম। ইলিশের ভরা মৌসুম আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল