বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের আয়োজনে সোমবার অমৌসুমী ফলের জাত উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা প্যাকেজ শীর্র্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা বারি’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এ সমাপনী কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দ এবং পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. সোহেলা আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ড. বাবুল চন্দ্র সরকার।
কর্মশালায় প্রকল্পের গবেষণা বিষয়ে ৩টি রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধ ৩টি উপস্থাপন করেন যথাক্রমের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ড. বাবুল চন্দ্র সরকার, উদ্ভিদ রোগতত্ত¡ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইকবাল ফারুক এবং কীটতত্ত¡ বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কফিল উদ্দিন।
কর্মশালায় জানানো হয়, এ প্রকল্পের আওতায় ৩টি অমৌসুমী ফল যথা বারি কদবেল-২, বারি জাম-১ এবং বারি আতা-১ এর জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে যে পরিমাণ ফল উৎপাদিত হয় তা দিয়ে একজন মানুষের মাত্র গড়ে প্রতিদিন ৮২ গ্রাম ফলের চাহিদা মেটানো যায়। তাই এই ফলের ঘাটতি ও মানুষের চুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য চাহিদা মেটাতে হলে আমাদের অমৌসুমী ফলের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।
পিবিআরজি-০১৩ উপ-প্রকল্প, এনএটিপি-২, পিআইইউ, বিএআরসি, ঢাকা প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ সমাপনী কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম