সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছনকা গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাবা বাবলু পাড় তার জামাতা লিটন হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৃত গৃহবধূর নাম হালিমা খাতুন (২৩)। তিনি সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের বাবলু পাড়ের কন্যা ও একই উপজেলার ছনকা গ্রামের লিটন হোসেন ঢালীর স্ত্রী।
বাবলু পাড় জানান, ৫ বছর আগে তার কন্যা হালিমার সাথে ছনকা গ্রামের লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সে ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার করে টাকা আদায় করতো। সম্প্রতি সে আরো এক লাখ টাকা ইজিবাইক কেনার জন্য স্ত্রীকে তার বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলে। এতে স্ত্রী রাজী না হওয়ায় স্বামী তাকে মারপিট করে।
একপর্যায়ে শনিবার রাতে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজ ঘরের আড়ায় তার স্ত্রীর মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। এরপর সে নিজেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বজিত সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবলু পাড় বাদী হয়ে জামাতা লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই