বাঘের আক্রমনে আহত হয়ে লোকালয়ে আশ্রয় নেয়া একটি মায়া হরিণকে (বার্কিং ডিয়ার) চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পাশে হরিণটিকে অবমুক্ত করা হয়।
এর আগে সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাঘের আক্রমণে আহত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে থাকা মায়া হারিণটি সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বরইতলা গ্রামে চলে আসে। খবর পেয়ে বন বিভাগ আহত হরিণটি উদ্ধার করে দু’দিন ধরে করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনে বাঘের থাবা খেয়ে আহত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে থাকা একটি মায়া হারিণটি সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বরইতলা গ্রামে চলে আসে। ওই গ্রামের আ. মান্নান সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তার বাড়ির বেড়ার জালে আটকে থাকা আহত একটি হরিণ দেখতে পেয়ে সুন্দরবন বিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত বন বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে হরিণটি উদ্ধার করে রাতেই করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
বাঘের থাবায় পাঁচ বছরের পুরুষ মায়া হরিণটির ডান শিং, ডান পা ও ডান পাশের পিছনের রান মারাত্মকভাবে ক্ষত হয়। করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে রেখে দু’দিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়। বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পাশে হরিণটিকে অবমুক্ত করা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি হরিণ বাঘের আক্রমণে আহত হয়ে প্রাণ বাঁচতে লোকালয়ে আশ্রয় নিলে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান সুন্দরবন বিভাগের এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল