গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নববধূ শ্রাবণী আক্তার হত্যার প্রতিবাদে এবং স্বামী শাকিল মুন্সীসহ দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামবাসী এ কর্মসূচি পালন করেন।
বুধবার বেলা ১১টায় মুকসুদপুর-টেকেরহাট সড়কের কমলাপুর বাসস্ট্যান্ডের উপর দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে নিহত শ্রাবণীর বাবা শাহাদত শেখ, এলাকাবাসী মোজাহিদ মহসীন ইমন ও রানা মিয়া বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, নববধু শ্রাবণীকে বিয়ের পাঁচদিনের মাথায় স্বামী শাকিল মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে হতা করেছে। কিন্তু পুলিশ এ ঘটনায় কোনও মামলা নেয়নি এবং প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থাও নেয়নি। শাকিল মুন্সীসহ দোষীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান বক্তারা।
পরে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মুকসুদপুর থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
নিহত শ্রাবণীর বাবা শাহাদত শেখ বলেন, আমার মেয়ের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা সন্দেহ করছি ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় ওড়না ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মত্যার করার কোওন লক্ষণ ওর শরীরে ছিল না। ওরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি আইনের কাছে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করছি।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর মিয়ার জানান, ঘটনার দিনে আমরা সংবাদ পাই গোবিন্দপুরে একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আমরা মেয়ের পরিবারের জন্য অপেক্ষা করি কিন্তু তারা কেউ না আসায় ছেলে পক্ষের অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের টিটুল মুন্সীর ছেলে শাকিল মুন্সীর সাথে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ৩ লাখ টাকা কাবিনমূল্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ১০ আগস্ট গোবিন্দপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে শ্রাবণী আক্তারের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্রাবণীর পরিবারের দাবি বিয়ের পাঁচদিনের মাথায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম