নাটোরের বড়াইগ্রামে শাবনুর খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলা জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল সংগ্রাম পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাবনুর সংগ্রামপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার স্ত্রী ও পারকোল গ্রামের আলম শেখের মেয়ে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী চাঁন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পিতা আলম শেখ জানান, সাত বছর আগে নবাব আলীর ছেলে চাঁন মিয়া’র(৩২) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ীর লোকজন আরো আরো টাকা দাবি করে শাবনুরকে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন চালাতো। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার নিজ শয়নঘরে আড়ের সাথে গলায় ওড়না পেচানো শাবনুরের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। এসময় লাশের পা মাটিতে দাড়ানো অবস্থায় ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
চাঁন মিয়া জানান, আমি ঢাকাতে একটি কারখানায় কাজ করি। বুধবার বাড়ি এসেছি। আমার শশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য জন্য শাবনুর আমাকে বলে। আমি দুইদিন পরে যেতে চেয়েছি। এই অভিমানে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম