টাঙ্গাইলের সখীপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলমের হস্তক্ষেপে এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে পৌরসভার ফজারচালা এলাকায় এ বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিলো।
জানা যায়, স্কুল পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে উপজেলার যাদবপুর এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে পুলিশ সদস্য আলামিনের বিয়ের আয়োজন চলছিলো। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেন ইউএনও। তার ঘণ্টাখানেক পরে গোপনে আবার বিয়ের কর্যক্রম শুরু হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ওই বিয়ে বাড়িতে পাঠান তিনি। এসময় ওই ছাত্রীর পরিবার তাকে বিয়ে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ইউএনও বরাবর লিখিত একটা মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
কাউন্সিলর আবু সাঈদ মিয়া জানান, ইউএনওর নির্দেশে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রান্না-বান্নার আয়োজন চলছে। বরপক্ষের লোকজনও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরে ইউএনও স্যারের নির্দেশে বিয়েটি বন্ধ করে দেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, প্রাপ্ত বয়স না হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল