বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে যুবলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সাবেক ছাত্রদল নেতার মোটরসাইকেল। মঙ্গলবার সকালে যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলা সদরে রামদা, হকস্টিকসহ লাঠিসোটা নিয়ে বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে বেধড়ক পিটিয়ে ১৫ নেতাকর্মীকে আহত করে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এই সশস্ত্র মিছিলের ভিডিও যুবলীগের এক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে পোষ্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান হাবিব ঠান্ডা জানান, জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের উর্ধ্বগতি, ভোলায় দুই নেতাকে হত্যাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে চিতলমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সমাবেশ বানচাল করতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কে হকস্টিক, রামদাসহ লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করে বেধড়ক পিটিয়ে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে আহত করে।
এসময়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম বাবুর মোটরসাইকেল। আহত ১৫ নেতামীদের মধ্যে বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম মনি, কৃষকদল নেতা শেখ মোহাম্মাদ আালী, যুবদল নেতা কামাল বিশ্বাস ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম বাবুর অবস্থা গুরুতর। পুলিশের উপস্তিতিতে ওই সশস্ত্র মিছিলের ভিডিও যুবলীগের নেতা জামাল শিকদার তার ফেজবুক পেইজে পোষ্ট করেছেন।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল হোসেন খান দাবী করেছেন, বিএনপির কোন নেতাকর্মীর উপরে আওয়ামী লীগের লোকজন কোন হামলা করেনি। বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, শুনেছি একজন যুবলীগের মিছিলের মধ্যে প্রবেশ করে মোটরসাইকেল ফেলে চলে গেছে। এছাড়া চিতলমারীতে তেমন কোন হামলার ঘটনা শুনিনি আমরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ