টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬ ঘণ্টার মধ্যে মাদরাসা ছাত্র সিফাত মিয়া (১৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। পুলিশ এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১ টায় মির্জাপুর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।
গ্রেফতাররকৃতরা হলেন, উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের কাটরা গ্রামের মো. হাবিব মিয়ার ছেলে মেহেতাব মিয়া (১৮) এবং ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর ছেলে আবু তালেব সিদ্দিকী (৭০)।
প্রেস ব্রিফিংএ জানানো হয়, সিফাত উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিনপাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে। সে সদরের আফাজ উদ্দিন দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে সিফাত একই গ্রামের বাসিন্দা তার বন্ধু নুরুল আমিনকে নিয়ে মির্জাপুর বংশাই রোড রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খাচ্ছিলো। এ সময় অপরিচিত দুইজন ছেলে এসে কানে কানে সিফাতকে কিছু বলে ডেকে নিয়ে যায়।
রাতে সিফাত বাড়ি না ফেরায় সিফাতের বন্ধু নুরুল আমিনকে ফোন দিলে সে জানায়, সন্ধ্যায় রেলক্রসিং এলাকা থেকে সিফাতের দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে গেছে। রাত আনুমানিক বারোটার দিকে ত্রিমোহন মাঝিপাড়ার একটি ধইঞ্চা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিফাতকে তার পরনের বেল্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তার মুখে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ুপথে একটি ধইঞ্চা ঢুকানো হয়েছে।
সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া মঙ্গলবার অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মামলা দায়েরের ৬ঘন্টার মধ্যে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়ীত থাকার অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ বলেন, গ্রেফতারকৃত মেহেতাব আদালতে স্বীকারোক্তি দিবে বলে জানিয়েছে। অপর আসামী আবু তালেব সিদ্দিকী তালেকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল