দেশের সাত জেলায় বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিনের বিভিন্ন সময় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বজ্রপাতে শেরপুরের নকলায় দুইজন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুইজন, নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রামে নারীসহ দুইজন, কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারায় দুইজন, পাবনার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ায় দুইজন, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় এক স্কুলছাত্র এবং ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামে বজ্রপাতে বাবুল হোসেন (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে বাবুল হোসেন ধাপগাড়ীর মাঠের কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বৃষ্টির মাঝে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় পৃথক দুটি এলাকায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, উরফা ইউনিয়নের হাসনখিলা এলাকার মন্নেস আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম অপি (৩০) ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রেহারচর এলাকার মৃত. সিদ্দিক সরকারের ছেলে নাজমুল হক (৪৫)।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথকস্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা হাওরে জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে সাদিকুর রহমান (২৭) নামে এক কৃষক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বাল্লা-জগন্নাথপুর গ্রামে জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ওমর বিশ্বাস (২২) নামে আরেক কৃষকের মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের রবীন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।
নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রামে বজ্রপাতে নারীসহ দুইজনের মুত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন। কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলায় বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর ও মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রাম এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।
এছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলায় মঙ্গলবার সকালে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়ায় বজ্রপাতে আবু বকর (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের পূর্ব টাঙ্গাটি গ্রামে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল