চরভদ্রাসনে কোনো ক্রমেই থামছে না লোহারটেক কোলে অবৈধ আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার। বিভিন্ন সময়ে মাছ শিকারের জন্য তৈরি এসব বাঁধ অপসারণ করা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন অপরাধীরা।
এবছর জুন মাসের চব্বিশ তারিখ সদর ইউনিয়নের মৌলভীরচর ব্রীজের নিকটবর্তী একটি বাঁধ অপসারণ করা হয়। তার কিছুদিন পর পুনরায় ওই একই স্থানে বাঁধ দিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে মৎস নিধন। এছাড়া সর্দারবাড়ী ব্রিজ, দর্জির মোড় এলাকায় একটি, জাকেরের সুরা জলকপাট এর নিকটবর্তী রয়েছে তিনটি আড়াআড়ি মাছ ধরার বাঁধ। আড়ও একটি বাঁধ রয়েছে উত্তর আলমনগর মধুশিকদারের ডাঙ্গী এলাকায়। এছাড়া লোহারটেক কোল জুড়ে ছোট ছোট বাঁশের টুকরো দিয়ে পাতা রয়েছে অসংখ চায়না দুয়ারী। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ। এছাড়া শ্রোত বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় পলি পরে নাব্যতা হারাচ্ছে খননকৃত লোহারটেক কোল।
আড়াআড়ি বাঁধ সংক্রান্ত বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খান বলেন, কোলে বাঁধ দিয়ে গরীব মানুষ মাছ মেরে খায়। এর চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পদ্মা নদীতে যারা বাঁধ, কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কোলে যারা বাঁধ দেয় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান বলেন, তারা যখন অভিযানে যান তখন তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাঁধ মালিকরা গা ঢাকা দেন। ফলে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। তবে এবার অনুসন্ধান পূর্বক প্রকৃত বাঁধ মালিকদের খুঁজে বের করে বাঁধ অপসারণ পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল