টাঙ্গাইলের সখীপুরে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ফুটবল প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে পৃৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এছাড়া খেলার মাঠে এক ক্রীড়া শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ও সোমাবার উপজেলার নলুয়া ও কুতুবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে খেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল ও সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে পৃথক দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, নামদারপুর ফাজিল মাদরাসার সাথে কুতুবপুর শুকনার সিট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইউনিয়ন পর্যায়ের ফাইনাল খেলা শেষে এক সংঘর্ষ বাধে। এ সময় নামদারপুর ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়ামের গলায় ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কে বা কারা আঘাত করে। ওই রাতেই তাকে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল হোসেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে বোয়ালী বিএল চাষী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেমি ফাইনাল খেলা পরিচালনা করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন নাকশালা জমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. মোশারফ হোসাইন।
তিনি বলেন, রেফারি হিসেবে খেলা চলাকালীন ফাউল করায় নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিজিৎ ও গোবিন্দ নামে দুই খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেওয়ায় ওই খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীরা মাঠের মধ্যে আমাকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো বিচার করেনি।
এ নিয়ে নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটা বিচার হয়েছে। স্কুলের সভাপতি সাহেব বলেছেন, এ নিয়ে আরও একবার বিচার হবে।
এছাড়া বোয়ালী বিএল চাষী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে নলুয়া বিএএফ শাহীন স্কুলের মঙ্গলবার বিকেলে ফাইনাল খেলা শেষে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে বোয়ালী বিএল চাষী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ নিয়ে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয় ও নলুয়া বিএএফ শাহীন স্কুলের ১৪ জন শিক্ষার্থীর নামে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জুলফিকার হায়দার কামালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল বলেন, খেলা নিয়ে শিক্ষক লাঞ্ছিত ও সংঘর্ষের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই