জাতীয় মঙ্গলের কবি মোজাম্মেল হকের ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলা প্রেসক্লাবে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আড্ডায় কবি মোজাম্মেল হকের জীবন ও সাহিত্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আড্ডায় অংশ নিয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক আবু তাহের, উপাধ্যক্ষ পীযুষ কান্তি হালদার, প্রেসক্লাব সম্পাদক অমিতাভ অপু, সহকারী অধ্যাপক জুন্নু রায়হান, কবি কামাল হোসেন শাহীন, কবি নিহার মোশাররফ, কবি মিলি বসাক, কবি আব্দুল্লাহ আল মনির, শিল্পী রেহানা ফেরদাউস, আবৃত্তি শিল্পী খাদিজা আক্তার স্বপ্না, সাংবাদিক এম. ছিদ্দিক উল্ল্যাহ, আনোয়ার সুজন প্রমুখ।
আড্ডায় বক্তারা বলেন, দ্বীপ জেলা ভোলার কৃতী সন্তান জাতীয় মঙ্গলের কবি মোজাম্মেল হকের জন্ম ০৯ সেপ্টেম্বর ১৮৮৫ সালে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা গ্রামে। তিনি ১৯০৮ সালে কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরপর প্রেসিডেনন্সি কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯১২ সালে বিএ পাস করেছেন। পাশাপাশি কবি মোজাম্মেল হক রচিত ‘জাতীয় মঙ্গলের কাব্য’ গ্রন্থটি ১৯০৯ সালে কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা এবং বঙ্গীয় মুসলি সাহিত্য পরিষদের সাথে নিবিড়ভাব জড়িত ছিলেন।
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি মোজাম্মেল হক রাজনীতি ও সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায়ও ছিলেন অনন্য সাধারণ। ১৯৩৭ সালে মোজাম্মেল হক কৃষক প্রজা পার্টির মনোনয়নে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যপদ লাভ করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
বক্তারা বলেন, বাংলার মুসলিম জাগরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন কবি মোজাম্মেল হক। কিন্তু এত বড় মানের একজন গুণী ব্যক্তির কর্ম জীবন সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম তেমন কিছু জানে না বললেই চলে। তাই আগামী প্রজন্মের কাছে কবি মোজাম্মেল হককে তুলে ধরা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেন আড্ডায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর