কিশোরগঞ্জের নিকলীতে তিন বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগে মা চাঁদনিকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গাছতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিকলী থানা পুলিশ।
এর আগে, গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। নিতহ শিশু জোবায়েত সাজনপুর গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে সাজনপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে করিমের সাথে একই গ্রামের মজলু মিয়ার মেয়ে চাঁদনির বিয়ে হয়। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় দুই বছর আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান চাঁদনি। একমাত্র সন্তান বাবার কাছে থাকলেও মাঝে মাঝে মায়ের কাছে যেত।
শুক্রবার দুপুরে মার কাছে যায় জোবায়েত। বিকালে বাড়িতে না ফেরায় শিশুটির দাদি সুফিয়া বেগম চাঁদনির বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ নেন। এসময় জোবায়েত চলে গেছে বলে জানান চাঁদনি। কিন্তু শিশুটিকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের হামিদ বেপারীর বাড়ির পুকুর পাড়ে জেবায়েতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে রাতে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা করিম মিয়া বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে চাঁদনিকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আগেই পুলিশ শুক্রবার রাতে মা চাঁদনিকে আটক করে।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ জানান, স্বামী করিম থাকতেন চট্টগ্রামে। আর স্ত্রী চাঁদনি থাকতেন ঢাকায়। দুইদিন আগে দুইজনই বাড়িতে আসেন। এ অবস্থায় ছেলে জোবায়েত মায়ের কাছে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সন্ধ্যার পর কোলে করে একটি পুকুর পাড়ে ফেলে দেন মা চাঁদনি।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় চাঁদনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ