পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় স্বামীর নির্যাতনে আক্তার বানু মনি (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংহারি বনগ্রাম ইউনিয়নের নতুনবস্তি কাটাবাড়ি গ্রামে শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। নিহত মনির দশ মাস বয়সী একটি কন্যা রয়েছে।
শনিবার দুপুরে পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদিকে, লাশ রেখে নিহতের স্বামীর পরিবারের লোকেরা গা ঢাকা দিয়েছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর আগে শরিফুলের সাথে মনির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জানা যায় শরিফুল মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময়ে নানা নির্যাতনের শিকার হয় মনি। এ নিয়ে বেশ সালিশও হয় । গতকাল রাতে তুচ্ছ বিষয়ে ফের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনির উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে শরিফুল।
এসময় বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে মনি। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে মনিকে নিয়ে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে ঠাকুরগাঁওয়ে পৌঁছানোর পূর্বে মনির মৃত্যু হয়। পরে মনির লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীর বাড়ির লোকজন।
নিহতের মনির বড় বোন রুপালি জানায়, বিয়ের পর থেকেই মনির কাছ থেকে শরীফুল টাকা পয়সা চাইতো। ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাবি করে । প্রতি মাসে মনি রাগ করে বাপের বাড়িতে আসে। পরে আবার মিমাংসার মাধ্যমে মনিকে স্বামীর সংসারে পাঠানো হয়। কিছুদিন আগে শরিফুল সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেয় মনিকে।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার জানান, খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করা হয়। মরদেহের পিঠে মারধরের দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জন্য লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মাদকাসক্ত শরিফুলকে পুলিশ খুঁজছে। ময়নাতদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে আসলে কিভাবে মনির মৃত্যু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক