ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বয়স বাড়িয়ে ‘জাল জন্মনিবন্ধন’ তৈরি করে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই শিশুর বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটির যেমন জাল জন্মনিবন্ধন কাগজ বের করা হয়, তেমনি ভাবে তার স্কুলের বিভিন্ন কাগজেও একাধিক জন্ম তারিখ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয় বুঝতে পেরে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়ার পাশাপাশি বিয়ে বন্ধ করে দেন। অবশ্য এর মধ্যেই বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিরা বাড়িতে এসে উপস্থিত হন।
একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার দেওড়া গ্রামের এক ছাত্রীর বিয়ের দিন ধার্য্য ছিলো শুক্রবার। ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ২০০৮ সালের ১৭ নভেম্বর। আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া জন্মনিবন্ধনে তার জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ০৬ আগস্ট বলে উল্লেখ করা আছে। ওই শিক্ষার্থীর বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে আলোচনা শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ অন্যান্যরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করেন। দুপুরে পুলিশ বিয়ে বাড়িতে হানা দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) মো. লতু মিয়া বাল্য বিয়ে বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ এসে তাদেরকে ওই বিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। কনের বয়স হয়নি নিশ্চিত হতে পেরে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অতিথিদেরকে চলে যেতে বলা হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, ইউএনও ও স্থানীয় সূত্রে বাল্য বিয়ের খবর তারা জানতে পারেন। বিভিন্ন ভাবে তারা নিশ্চিত হন যেন ওই শিক্ষার্থীর বয়স ১৬ বছরের মতো। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জাল নিবন্ধনের কাগজ দেখিয়ে বয়স বেশি বলে দাবি করে। এ অবস্থায় বিয়েটি বন্ধ করে দিয়ে প্রকৃত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা আদায় করা হয় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছ থেকে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল