নেত্রকোনার জেলার মোহনগঞ্জ এবং আটপাড়া দুই উপজেলার হাওরে শুক্রবার রাতে ঝড়ে নিখোঁজ হওয়া দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মোহনগঞ্জে ঝড়ে নিখোঁজের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে রাসেল মিয়া (৩৫) নামে এক জেলের মরদেহ শনিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ডিঙ্গাপোতা হাওরের লামাবাড়ি থেকে উদ্ধার করে। তিনি উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের দরুন বানিহারির লামাবাড়ি গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে।
এর আগে আটপাড়া উপজেলায় বাড়ির সমানের গণেশের হাওরে নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর রাতে সাড়ে ১১টার সময় পশ্চিমের কান্দা এলাকা থেকে জেলে দিলু মিয়ার (৩২) মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। দিলু মিয়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের কৈলং গ্রামের ফটিক চাঁনের ছেলে।
মোহনগঞ্জ বাজারের মাছের আড়তদার মো. কাওছার আলম জানান, রাসেল আমার আড়তে নিয়মিত মাছ দিতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে ইঞ্জিনচালিত ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে একাই বাড়ির পাশে ডিঙাপোতা হাওরে মাছ ধরতে যান। রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে তার নৌকা ডুবে যায়। পরে সকালে নৌকাটি স্থানীয়রা খুঁজে পেলেও রাসেলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল বেশ কটি নৌকা গাগলাজুর ডিঙ্গাপোতা হাওরে মাছ ধরতে যায়। ঝড়ের কবলে পড়লে অন্যরা কোনোমতে বাড়ি ফিরলেও রাসেল নিখোঁজ ছিলেন। খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ডিঙ্গাপোতাসহ গাগলাজুর হাওরের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালায়। দুপুরে রাসেলের মরদেহ লামাবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের কৈলং গ্রামের জেলে আবুল হোসেন জানান, দিলু মিয়া প্রতিদিনের মতো বাড়ির সামনের হাওরে শুক্রবারেও সন্ধ্যার পর মাছ শিকারে যান। তিনিও সঙ্গে ছিলেন। এ সময় হাওরে ঝড় শুরু হলে দুজনই নৌকা থেকে পড়ে যান। তবে আবুল হোসেন নৌকায় ধরে রেখে ভাসতে ভাসতে তীরে ওঠেন। পরে বাড়িতে গিয়ে দিলু মিয়ার নিখোঁজের খবর স্বজনদের জানান তিনি।
নিখোঁজের আত্মীয় মির্জা হৃদয় সাগর জানান, খবর পেয়েই নিখোঁজ দিলু মিয়াকে উদ্ধারে সন্ধান চালানো হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই হাওরের পশ্চিমের কান্দা নামক স্থানে দিলু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ