প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন কটূক্তির প্রতিবাদে নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে শনিবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
জেলা শহর মাইজদী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে সিনেমা হল পর্যন্ত প্রধান সড়কে মানুষের ঢল নামে। বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শতশত মিছিলে ভরে যায় মহাসড়ক।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুদ্দিন জেহানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। এসময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক স্পিকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুল মালেক উকিলের সন্তান বাহাউদ্দিন খেলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের চেয়ারম্যান, জেলা জর্জ কোর্টের পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল, সাবেক পিপি কাজী শাহিন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বাবু ইমন ভট্ট, কমিশনার ফখরুদ্দিন, অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা মাওলা লিটন, চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, এমপিপুত্র সাবাব চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীর মিছিল দেখে এমপি একরাম চৌধুরী এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেন।
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু আমার প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শোকের মাসে কটূক্তি করেছে, আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমি সিঙ্গাপুর থেকে ছুটে এসে এই প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। সদর-সূবর্ণচরের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক ও প্রস্তুতি সভা করে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছি। আজ প্রতিবাদ সমাবেশ বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এক লক্ষাধিকের ওপরে লোক আমার ডাকে সাড়া দিয়েছে। আমি আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞ এবং চিরঋণী হয়ে গেলাম। আপনারা আমার নেত্রীর জন্য এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।’
সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিলের সন্তান বাহাউদ্দিন খেলন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিএনপির লোকজন কটূক্তি করেছে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের লোকজন কোনো প্রতিবাদ সভা করতে পারেননি। আপনাদের জনপ্রিয় নেতা একরাম চৌধুরী বিশাল সমাবেশ করে আজ দেখিয়ে দিয়েছেন।’
নোয়াাখালী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি ডিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে ছিলেন। কোথাও কোনো ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ