কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। তবে কাল বৃহস্পতিবার সকল পদে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দাউদকান্দি ৩ নম্বর ওয়ার্ড ও মেঘনা ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মহিলা সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে দাউদকান্দি ওয়ার্ডের ভোটারের সংখ্যা ২১১, আর মেঘনা ওয়ার্ডে ১০৭ জন ভোটার। ভোট দিতে পারবেন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউপি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলররা।
ইতিমধ্যে মেঘনা ওয়ার্ডে দুজন সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে মেঘনা উপজেলা শেখ রাসেল পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ কাইয়ূম মঙ্গলবার ৪৪ জন ভোটারের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বুধবার থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। আরেক প্রার্থী মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক এমরান হোসেন আকাশ বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দাউদকান্দি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা চারজন। মহিলা সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যে একজন মনোনয়নপত্র কিনবেন বলে জানা গেছে। সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন সরকার, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ জামিল বাবুর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা নাছিম ইউসুফ রেইন, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মহিউদ্দিন শিকদার, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ওমর ফারুক ও সাবেক জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য পারুল আক্তার।
এদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন সাবেক দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ জামিল বাবুর ছেলে ও দাউদকান্দি পৌর মেয়র নাঈম ইউসুফ সেইনের ছোট ভাই নাছিম ইউসুফ রেইন ও মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
মেঘনা ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী কাইয়ূম বলেন, আমি ভোটারদের কাছে সাড়া পাচ্ছি। আমাকে যদি মেঘনা উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি মেঘনার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
দাউদকান্দি আসনের সদস্য প্রার্থী রেইন বলেন, আমার বাবাও জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ভাই বর্তমানে পৌর মেয়র হিসেবেও দাউদকান্দিতে প্রচুর উন্নয়ন করছেন। আমিও সুযোগ পেলে দাউদকান্দিবাসীর সেবা করতে চাই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই