বাগেরহাটে চারদিনের ভারী বৃষ্টিপাত আর জলোচ্ছ্বাসে উপচেপড়া পানির চাপে বাঁধ ভেঙে ৮ হাজারের অধিক মাছের ঘের ডুবে গেছে। এতে ভেসে গেছে কমপক্ষে চার কোটি টাকার মাছ।
জেলা মৎস্য বিভাগের প্রাথমিক হিসাবে জেলার ৯টি উপজেলায় ভারী বৃষ্টিপাত আর জলোচ্ছ্বাসে মৎস্য খাতে এই ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে মোংলার ৪টি ইউনিয়নেই ১ হাজার ৯২০টি মাছের ঘেরের বাঁধ ভেঙে কোটি টাকার উপরে মাছ ভেসে গেছে।
বাগেরহাটের নদনদীর পানি এখনো বিপৎসীমার দেড় ফুট উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবারও বাগেরহাটে বৃষ্টিপাত আর জোয়ারের পানি অব্যাহত থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন পানিবন্দি শতশত পরিবার। অনেক দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে প্লাবিত রয়েছে। সব থেকে কষ্টে আছে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ। জলোচ্ছ্বাসে এখনো ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে সুন্দরবন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছে মোংলা আবহাওয়া অফিস।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, প্রাথমিক হিসাবে চারদিনের ভারী বৃষ্টিপাত আর জলোচ্ছ্বাসে জেলার ৯টি উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ৮ হাজারের অধিক মাছের ঘের ডুবে ভেসে গেছে কমপক্ষে ৪ কোটি টাকার মাছ। এরমধ্যে মোংলা ৪টি ইউনিয়নেই ১ হাজার ৯২০টি মাছের ঘেরের বাঁধ ভেঙে কোটি টাকার উপরে মাছ ভেসে গেছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষীদের তালিকা করা হচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে তালিকা করার কাজ শেষ হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এরপর আর বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের কোন সম্ভাবনা থাকছে না। এরপর দ্রুতই নদনদীর পানি কমে আসবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন