নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইভা আক্তার (১৮) নামে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীরে পেটে লাথি দিয়ে সন্তান নষ্টের অভিযোগে উঠেছে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ওই নারীর স্বামীর বোন জামাই আব্দুল সালাম খান বাদী হয়ে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে পঞ্চবটী ঢালডা গেইট এলাকায়। মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া জামাল মিয়া (৪০), তার ছেলে নাঈম (১৯), ভাই রুবেল (২৯) ও তার স্ত্রী নার্গিস আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন। পুলিশ আসামিদের মধ্যে নার্গিসকে গ্রেফতার করছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী আব্দুস সালাম স্ব-পরিবারে ফতুল্লার পঞ্চবটীস্থ ডালঢা গেইট সংলগ্ন জুয়েল মাহমুদের বাসায় ভাড়া থাকেন। অপরদিকে অভিযুক্তরাও একই বাসার ভাড়াটিয়া। ওই বাসায় দুই ভাড়াটিয়াকে একই চুলায় রান্না করতে হয়। চুলায় রান্না করা নিয়ে প্রায় সময় বাদীর স্ত্রী সালামের স্ত্রী রেবেকা আক্তারকে অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া প্রতিবেশী নার্গিস আক্তার বকাঝকা করত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাদীর স্ত্রী রেবেকা আক্তারকে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে গালমন্দ করতে থাকে নার্গিস। এতে বাদী সালাম প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া জামাল, নার্গিস (গ্রেফতারকৃত), নাঈম, রুবেল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। ওই সময় বাদী সালামের শ্যালক সাইদুর রহমান(২২) ও তার ৬ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ইভা(১৮) রহমান বাসায় ছিল। শ্যালক সাইদুর রহমান ও তার ছয় মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ইভা আক্তার বিবাদীদের থামাতে যায়। এক পর্যায়ে বিবাদীরা গর্ভবতী নারী ইভার পেটে লাথি মারলে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রক্তক্ষরণ দেখে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত ইভাকে উদ্ধার করে শহরের চাষাড়াস্থ মিতু ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায়, তার গর্ভের বাচ্চা গর্ভে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (টু) জানায়, মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিবাদীর পক্ষের অভিযুক্ত নার্গিসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অপর আসামিদেরকে ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে শুনেছি। মেডিকেল রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে কিনা। তদন্ত করে দেখব।
বিডি প্রতিদিন/এএম