সুনামগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথকভাবে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।
ভোটারদের একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকালেও দলটির কেউই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী নরুল হুদা মুকুটের সাথে বিএনপির অনেক জনপ্রতিধিকে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনেকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল হুদা। এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ইমনের বড়ভাই সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর খায়রুল কবির রুমেন। দল সমর্থিত প্রার্থী রুমের পক্ষে দলীয় এমপিদের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থন রয়েছেন। সেইসাথে দলের অন্য একটি অংশ রয়েছে মুকুটের পক্ষে। বিগত নির্বাচনের ন্যায় এবারও বিএনপির ভোটারদের অবস্থান মুকুট-ঘেঁষা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট বলেন, একটি মহল বার বার আমাদের হাইকমান্ডকে ভুল বুঝিয়ে অযোগ্যদের অনুকূলে দলীয় সমর্থন নিয়ে এসেছে। ফলে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার। কিন্তু যারা এসব কাজ করছে তারা বিএনপি আসলে দৃশ্যপটে ছিল না, ছিলাম আমরা। আমাকে বিজয়ী করিয়ে তাদের এসব ষড়যন্ত্রের জবাব সাধারণ ভোটাররা দেবে।
আওয়ামী লীগে সমর্থিত প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেন বলেন, মাননীয় নেত্রী আমাকে মনোনয় দিয়েছেন। আমার দল ও দলের জনপ্রতিনিধিরা আমার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছেন। আমাদের দলের সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট নির্বাচনে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। তবে আমরা আশা করি নেত্রীর আদেশ মেনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। বিগত ৫ বছর তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামীতে আরো বড় পদে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার। এবার নতুনদের জন্য এই পদ তিনি ছেড়ে দেবেন বলে আমি মনে করি।
বিডি প্রতিদিন/এএ