নরসিংদীতে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ঝর্না বেগম (৩৪) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে- গলায় থাইরড অপারেশনের সময় তার ঘাড়ের রগ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। এতে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীর মৃত্যুর পর উন্নত চিকিসার কথা বলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাশ নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে নিহতের স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
নিহত ঝর্না বেগমের দেবর মামুন জানিয়েছেন, শিবপুরের নোয়াদিয়া গ্রামের ঝর্না বেগম দীর্ঘদিন ধরে গলায় থাইরয়েডের সম্যসায় ভুগছিলেন। এই জন্য তিনি গত শনিবার বিকেলে ওই প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ইএনটি চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলাম দীপু তাকে অপারেশন করার কথা জানান। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টায় দিকে ঝর্নাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। অপারেশন শুরু পর থেকে রাত ১০টা ৪০ মিনিট পযর্ন্ত রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়। এরই মধ্যে হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী রোগীকে প্রথমে গাওসিয়া ইউএস বাংলা হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন অনেকক্ষন আগেই রোগী মারা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় নিহতের লাশ আবার নরসিংদীর ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই সময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ব্যাপারে কথা বলতে হাসপাতালের কাউকে পাওয়া যায়নি।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নেয়ামত জানিয়েছেন, রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের সামনে লোকজন জড়ো হয়। পরে কিছুক্ষন হাসপাতাল সামনে অবস্থানের পর লাশ নিয়ে চলে যায়। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ