পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে তিনটি ইউনিয়নের মানুষ। বুধবার রাতে এসব ইউনিয়নের সকল মসজিদ থেকে জনগনকে সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়। গ্রামে গ্রামে দেয়া হয়েছে রাত জেগে পাহারা। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাধারন মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য সারা রাত ছিল পুলিশী টহল।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীতে ২৫/৩০ জনের একদল ডাকাত ঢুকে পড়েছে। এমনি গুজব কলাপাড়ার ধানখালী, চম্পাপুর ও টিয়াখালী ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। একই সাথে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। এতে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানা পুলিশের নির্দেশে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে মাইকিং করে সর্তক করে দেয়া হয়। ফলে সারারাত মানুষ র্নিঘুম রাত কাটিয়ে গ্রামের পর গ্রাম পাহাড়া দিয়েছেন।
ধানখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপাতি সাহাজাদা পারভেজ টিনু মৃধা বলেন, ইউনিয়নের দায়িত্বরত থানার বিট অফিসার বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলে দিয়েছি।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.রিয়াজ তালুকদার জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে সতর্কতার মাইকিং করা হয়।
চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রিন্টু তালুকদার জানান, খবর শোনার পর পরই ইউনিয়নের সকল চৌকিদারদের গ্রামে গ্রামে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার এলাকায়ও সকল মসজিদে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করেছেন বলে তিনি জানান।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশের দু’টি টিম ভাগ হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে টহল অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, গত একমাস ধরে কলাপাড়া পৌরশহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসা-বাড়ীতে চুরি লেগেই আছে। এসব চোরেরা রাতে চুরি ছাড়াও দিনে-দুপুরে চুরি করে আসছে বলে ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ