পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীর মাড়েয়া ঘাটে রবিবার নৌকাডুবির ঘটনায় দিনাজপুরের আত্রাই ও ঢেপা নদীতে ভেসে আসা সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খানসামা উপজেলার জয়ন্তিয়া ঘাট, জিয়া সেতু, ফরিদাবাদ, বাসুলী ও জয়গঞ্জ-ঝাড়বাড়ি ঘাটে ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এবং একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জয়গঞ্জ-ঝাড়বাড়ি খেয়া ঘাটে উদ্ধারকৃত লাশ বীরগঞ্জ থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে ঢেপা নদী থেকে ভেসে আসা এক নারীর লাশ উদ্ধার করে বীরগঞ্জ পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত লাশ পরিবারের সদস্যরা এসে শনাক্ত করে।
তারা হলেন-ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিসমতপুর গ্রামের অনন্ত কুমার রায়ের স্ত্রী পুস্পা রানী রায় (৪৫), পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার চামেশ্বরী গ্রামের শক্তি চন্দ্র রায়ের স্ত্রী কলেজ লাইব্রেরিয়ান ঝর্ণা রানী রায় (৫২), বোদা উপজেলার কাউয়াখাল গ্রামের সহিন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী সুমিত্রা রাণী রায় (৪৫), দেবীগঞ্জ উপজেলার হাতীডুবা গ্রামের ভূবেন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী রুপালী রানী রায় ও বোদা উপজেলার বংশীধরপুজারী গ্রামের বিমল চন্দ্র রায়ের ছেলে সূর্য চন্দ্র রায় (৬)। বীরগঞ্জে উদ্ধারকৃত শিশুটি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া গ্রামের প্রফুল্ল রায়ের ছেলে সুব্রত রায় এবং বোদা উপজেলার কাউযাখাল গ্রামের সহিনের স্ত্রী সুমিত্রা (৪৫)।
বিষয়ে নিশ্চিত করে বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত সরকার জানান, সোমবার বীরগঞ্জ উপজেলার আত্রাই নদীর কাশিমনগর বাদলা ঘাট থেকে আড়াই বছরের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুরে বীরগঞ্জ পৌরশহরের স্লুইসগেট ঢেপা নদীতে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার লাশ শনাক্ত করেছেন তার ছেলে বিজয়।
অপরদিকে, খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, উদ্ধারকৃত লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করার পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই