নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা প্রশাসকের হলরুমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আটজন। সোমবার বেলা ১১টার সময়ে নড়াইল জেলা প্রশাসকের হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইল জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ও পরে পুরুষ ওয়ার্ডের সদস্যদের প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। পুরুষ ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতীক বরাদ্দ শুরু হলে সদস্য প্রার্থী খোকন কুমার সাহা ও ওবায়দুর রহমান দুজন প্রার্থীই তালা প্রতীক চান। নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী একই মার্কা দুজন চাওয়ায় লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খোকন কুমার সাহা ওবায়দুর রহমানকে জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে মুখে ঘুষি মারার অভিযোগ ওঠে। পরে ওবায়দুরও ঘুষি মারেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের হলরুমের পূর্বপাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও তার সমর্থনকারী কাশিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী বসে ছিলেন। এসময় হঠাৎ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন মারধর শুরু করে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের হলরুমের চেয়ার ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতীক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ আমার পক্ষের লোকজন। জেলার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাস্থল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে আমার প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী, নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান কালু, শামুকখোলা গ্রামের কামাল কাজী, লাবু কাজী ও জাকির কাজী আহত হয়েছেন। আমি মামলা করবো এবং উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, আমি আনারস প্রতীক চেয়েছি, অপরদিকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুও আনারস চেয়েছেন। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠে আমরা যদি আনারস না পাই তাহলে কেন এসেছি। এ কথা শোনার পরে আমার লোকজনের সঙ্গে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে কিছুু সময়ে প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কার্যক্রম সমাপ্তি করা হয়েছে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহাকে শোকজ করা হবে এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই