মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগম হয়েছে মর্তলোকে। এবার দেবী বোধনের অপেক্ষা। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা-শিল্পীরা।
রঙ তুলির আঁচড়ে সাজানো হচ্ছে প্রতিমা। মণ্ডপেও আনা হচ্ছে ভিন্নতা। আছে হরেক রঙের আলোর সাজ। দর্শনার্থী ও ভক্তদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা প্যান্ডেল। রাঙামাটিতে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও এ দুর্গোৎসব পালন করে থাকে।
রবিবার সকালে রাঙামাটির সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে মন্দিরে চণ্ডিপাঠের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহন করা হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে মহালয়ার দিন পৃথিবীতে আসেন দেবী দুর্গা। পরবর্তী পূর্ণিমায় কোজাগরী অর্থাৎ লক্ষ্মীপূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দেবীপক্ষ। এবার দেবি দুর্গার আগম হয়েছে নৌকায়। আর বিদায় নিবেন গজে চড়ে।
রাঙামাটি দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক আমেলন্দু হাওলাদার বলের, এবার পূজা উপলক্ষে শহরসহ জেলায় ৪২ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সার্বজনীন উৎসবের অংশে আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এরপর ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপূজা, ৪ অক্টোবর মহানবমী ও ৫ অক্টোবর বিজয় দশমী পালিত হবে। এ দিন বিজয়া শোভাযাত্রা ও কাপ্তাই লেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সার্বজনীন কর্মসূচির অংশে শেষ হবে বর্ণিল শারদীয় দুর্গোৎসব।
অন্যদিকে শহরসহ জেলার প্রতিটি মণ্ডপে পূজা শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাঙামাটি শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবেনা। পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যাবেক্ষণ করা হবে।
এছাড়া দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সাড়ম্বরপূর্ণভাবে আয়োজন করতে প্রত্যেক পূজামণ্ডপে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল