১ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৫২

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ুদারকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ুদারকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়

ঠাকুরগাঁওয়ের ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন পরিষদের ঝাড়ুদার এক নারী। এছাড়া একই পরিষদের হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রুহিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন/২০০৩ এর  ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে অভিযোগের কথা অস্বীকার করছেন ইউপি সদস্য অখিল চন্দ্র রায়। আর হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলীকে ফোন করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের একজন দরিদ্র নারী (৩৫) ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদে ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। চেয়ারম্যান ও হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলী বিভিন্ন সময়ে ওই নারীকে উত্যক্ত করত। গত মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে চেয়ারম্যানের অফিস রুমের বাথরুম পরিস্কার করতে যায় ওই নারী। এসময় চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী কাঁদতে কাঁদতে হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলীর রুমে গিয়ে তাকে অভিযোগ দিলে সে ঘটনা ফাঁস না করতে ভয়ভীতি দেখায় এবং সেও ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ধর্ষণের স্বীকার সেই নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি দেখিয়ে মামলা করতে বারন করেন চেয়ারম্যানসহ সেই হিসাব সহকারী।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান ও হিসাব সহকারী আমাকে দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখায়। এরপরেও আমি রাজি না হলে তারা আমাকে কাজ থেকে বের করে দেয়ার কথা বলে। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চেয়ারম্যানের অফিস রুমের বাথরুম পরিস্কার করতে যাই আমি। এসময় চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমি কাঁদতে কাঁদতে হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলীর রুমে গিয়ে তাকে অভিযোগ দিলে সে ঘটনা ফাঁস না করতে ভয়ভীতি দেখায় এবং সেও আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

ওই নারীর স্বামী আজিজুল হক বলেন, আমার স্ত্রী কি অন্যায় করেছে যে তার সাথে এই কাজটি করা হলো। তাকে অনেকবার এমন খারাপ কাজের প্রস্তব দিয়েছিলেন তারা। সেদিন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চেয়ারম্যান। পরে সে হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলীকে বিষয়টি বলতে গেলে সেও বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী কান্না করতে করতে বাসায় আসে আমাকে বিষয়টি জানায়। আমরা মামলা করেছি, আমরা এটার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোছা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমি নিজে গৃহবধূর সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মেয়েকে মেডিকেলের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর