কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাফর আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় শুধু সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকাল ৯ টায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
নির্বাচনে ৯ উপজেলায় ৩টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. মাসুদা ডেইজী, ২ নং ওয়ার্ডে মোছা. শিউলী বেগম এবং ৩ নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আরমিন নাহার।
নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় মো. জহির উদ্দিন, নাগেশ্বরী উপজেলায় মো. একরামুল হক বুলবুল, ফুলবাড়ী উপজেলায় মোছা. মনোয়ারা বেগম, সদর উপজেলায় মো. মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুব, রাজারহাট উপজেলায় মো. এনামুল হক, উলিপুর উপজেলায় মো. জুয়েল, চিলমারী উপজেলায় মো. জামিনুল হক, রৌমারী উপজেলায় মো. হারুনর রশিদ ও রাজিবপুর উপজেলায় মো. সোহেল সরকার।
এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন ছাড়াই কুড়িগ্রামে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে বিরতীহীন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩৬ জন এবং ৩টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০ জন। এর আগে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাফর আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
৯টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা এবং ৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মোট ১০১৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম রাকীব জানান, মোট ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নিরবিচ্ছিন্ন ভোটগ্রহণের জন্য আইন-শৃংখলাসহ সকল ধরনের ব্যবস্থা করে নির্বাচন জেলা নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সোমবার সকাল থেকে প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য ৫ জন পুলিশ ও আনসারসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব ও পুলিশের একটি করে দল দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে ভোটারদের কোন অভিযোগ ছিল না।
৯টি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে জেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৩টি ছিল এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী সংখ্যা ৪৬ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য প্রার্থী ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন