বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট না প্রদানে জেলা বিএনপি থেকে বলা হলেও সে নির্দেশনা পালন করা হয়নি। নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছেন বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৬২৩টি। সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে ১৬০০ জনের। বাকি ২৩টি ভোটের মধ্যে ৫টি বাতিল হয়েছে। আর ভোট প্রদান করেননি ১৮ জন।
জানা যায়, বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলা, ১২টি পৌরসভা ও ১০৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বগুড়া জেলা পরিষদ। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৬২৫ জন ভোটারের মধ্যে ২ জন মৃত্যুবরণ করায় ১ হাজার ৬২৩ জন ভোটার রয়েছেন।
বগুড়া জেলা পরিষদের ভোটের কয়েকদিন আগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা ভোট না প্রদান করতে ঘোষণা দিয়ে নির্দেশনা জারি করেন। এই নির্দেশনা সকলকে পালন করতেও আহ্বান জানানো হয়। এ নিয়ে জেলায় নানা কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সে নির্দেশনা পালন করেনি বিএনপির জনপ্রতিনিধিরা। ১ হাজার ৬২৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রদান করেন ১ হাজার ৬০০ জন।
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে জেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলার ১০টি ইউপি এবং ১ টি পৌরসভার সর্বমোট ভোটার ১৪৬ জন। বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এরমধ্যে ৪৭ জন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
বগুড়া জেলা পরিষদের নির্বাচনে এ উপজেলার সর্বমোট ১৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রদান করেছে ১৪৫ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মকবুল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ৭৮ ভোট পেয়ে ১ম স্থান অধিকার করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল মান্নান আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫ ভোট। এ উপজেলার ১৪৬ টি ভোটের মধ্যে সর্বমোট ১৪৫ টি ভোট পরেছে। অর্থাৎ বিএনপি সমর্থিত জন প্রতিনিধিরাও জেলা পরিষদের ভোটে অংশগ্রহণ করছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কাজলা ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির জন প্রতিনিধিরাও জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। তবে আমি ভোট দিতে যাইনি।
বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আসলেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের সাথে আলেচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ