রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার জঙ্গি কাওসার ওরফে শিশির দুই বছর যাবত নিরুদ্দেশ ছিল। তার পরিবারের সদস্যরা এই তথ্য জানিয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কাওসার ২০২০ সালে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের যায়। এরপর আর কারও সাথে যোগাযোগ করেনি।
কাওসারের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হারুনদিয়া গ্রামে। তার বাবা মৃত গোলাম কিবরিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে কাওসার সবার বড়। একসময় ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৪ বছর আগে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে এলাকার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেন। এর কিছুদিন পর তুলার দোকান দেন। পরে ইজিবাইক চালানো শুরু করেন। এরপর আবার গরুর ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ঝিনাইদহে দ্বিতীয় বিবাহ এবং চট্টগ্রামে তৃতীয় বিবাহ করেন।
গ্রামের পৃথক স্থানে বাড়ি নির্মাণ করে কাওসার ওরফে শিশির স্ত্রী ও ৬ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তার বাড়িতে তেমন কাউকে ঢুকতে দিতেন না। এলাকার মানুষের সাথে তার তেমন মেলামেশা ছিল না। ২০২০ সালে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিরুদ্দেশ হন কাওসার ওরফে শিশির।
গত শুক্রবার রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার কয়েকজন সদস্যকে। এর মধ্যে কাওসার ওরফে শিশিরও রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল