ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির ৩৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন ফেনী জেলা জজ আদালত। উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে আজ তারা জেলা জজ ছালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
ফেনী জজ কোর্টের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, গত ২৯ আগস্ট বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ আগস্ট বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১২০-১৩০ জনকে অজ্ঞাতনামায় আসামি করে পুলিশ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আবদুল আউয়াল মিন্টু হাইকোর্ট থেক ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
পরে তিনি গত ১০ অক্টোবর ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ এজাহার নামীয় মো. রিপন ও আলাউদ্দিনসহ ১৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে পৃথক অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এ দুটি মামলায় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের পূর্বে গ্রেফতার হওয়া ১৩ নেতাকর্মী ও জামিন না মঞ্জুর হওয়া ৩৬ জনসহ মোট ৪৯ জন নেতাকর্মী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে তারা রোববার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেহ মোহাম্মদ রুহুল ইমরানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তিনজনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ৩৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত নেতাদের মধ্যে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খুরশিদ আলম ভুইয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন, সদস্য সচিব রাসেল হামিদী, উপজেলা ছাত্রদলের নেতা মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস, যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হন। এঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। মামলার এজহারভুক্ত আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, আদালতে নেতাকর্মীদের জামিন দেওয়া ন্যায্য অধিকার ছিলো। জামিন না দিয়ে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ