কিশোরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। বিক্ষোভকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সড়কের দুধারে অবস্থান নেয়। এ সময় রাস্তার উভয়দিকে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।
এর আগে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এই সরকারের দিন শেষ। এই সরকারের শেষ দিনগুলোতে যারা দালালি করবে, অতিউৎসাহী হয়ে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে; দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। আমরা সেসব কর্মকর্তাদের নাম তালিকাভুক্ত করছি, যারা জনগণের বুকে গুলি চালাচ্ছে, জনগণের রক্ত ঝরাচ্ছে, জনগণকে লাশে পরিণত করছে, গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে; তাদের কোনো রেহাই নেই।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, প্রশাসনের পোশাক পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করবেন না। পারলে পোশাক খুলে আসুন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, প্রশাসন আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে। এরপর রাতে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক সরকারের আচরণ হতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনকালে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ ২৯ জন আহত হন। পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে হামলার নিন্দা, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল