বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বাসের ধাক্কায় সিএনজি যাত্রী স্বামী-স্ত্রী নিহত এবং তাদের ছেলেসহ চারজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টায় বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার লিচুতলা বাইপাস মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার ডালচিনি উপজেলার উত্তর রমজানপুর গ্রামের আলাউদ্দিন বেপারীর ছেলে কেরামত হোসেন (৪৮) ও তার স্ত্রী মিনারা রহমান (৩৮)। আহতরা হলেন, নিহত কেরামত হোসেনের ছেলে মুনতাসির মাহির (১৬) এবং শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া এলাকার বাসিন্দা আবু হাসান (২৫)। জানা যায়, শুক্রবার রাতে বৃহত্তর ফরিদপুর ক্যালণ সমিতি, বগুড়ার সভা ছিল জেলা শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে। এই সমিতির সদস্য ছিলেন নিহত কেরামত হোসেন। সেখানে সভা শেষে রাতের খাবার খেয়ে পরিবার নিয়ে সিএনজি যোগে শাজাহানপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে লিচুতলা মোড়ে রংপুরগামী একটি বাস তাদের সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কেরামত হোসেন মারা যায় এবং স্ত্রী মিনারা বেগম ও সন্তান মুনতাসীর মাহির ও আবু হাসান গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কেরামত হোসেনকে মৃত এবং ভর্তির পর রাত ১২টায় মিনারা বেগমও মারা যান। আহত হয়ে তাদের ছেলে মাহির ও আবু হাসান বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কেরামত হোসেন তার পরিবার নিয়ে বনানী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাঝিড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে রংপুরগামী আগমনী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা সকলে আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর পুলিশ বাসটি আটক করেছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবুল মিয়া জানান, দুর্ঘটনায় নিহত কেরামত হোসেন বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের এমইএস ইউনিটে পাইপ ফিটার পদে বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে তার কাছে পাওয়া পরিচয় পত্র থেকে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম