বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মোবাইলফোনে আসক্তিতে বাধা দেওয়ায় স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। পরে তার দাদির ঘর থেকে রঞ্জু মিয়া (১৪) নামে ওই স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রঞ্জু মিয়া উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বলারবাড়ি-মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রঞ্জুর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ধুনট থানা থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে পিপুলবাড়িয়া গ্রামে দাদির শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রঞ্জুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বজনদের বাধা উপেক্ষা করে প্রায় এক বছর ধরে মা-বাবার অগোচরে রঞ্জু মিয়া তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ফেসবুক চালানোসহ বিভিন্ন ধরনের গেইম খেলতে নিয়ে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে রঞ্জু। এ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে রঞ্জু তার মা-বাবার কাছে মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার বায়না ধরে। কিন্ত মা-বাবা ফোন কিনে দিতে রাজী না হয়ে ছেলেকে গালমন্দা করে। এতে মা-বাবার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে রঞ্জু। এক পর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে তার দাদির ঘরের ভেতর তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রঞ্জু আত্মহত্যা করে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রঞ্জুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রঞ্জুর মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম